‘পে-পল’ শিগগিরই দেশে বৈধতা পাচ্ছে !

অনলাইন পেমেন্ট প্রসেসর পে-পল শিগগিরই বাংলাদেশে বৈধতা পাচ্ছে। ভার্চুয়াল ব্যাংক হিসেবে খ্যাত এই আন্তর্জাতিক পেমেন্ট প্রসেসর পে-পল বাংলাদেশে বৈধতা পেলে আরো বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে বলে জানা গেছে। বেসিস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। পে-পলকে দেশে আনার চেষ্টা চলছে। তবে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পে-পল নিজেরাই বাংলাদেশে আসতে রাজি হচ্ছে না, ব্যবসায়িকভাবে কোন ঝামেলা হতে পারে এ আশঙ্কায়।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে দেশে প্রতিবছর বিপুল পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে এলেও তা রেমিট্যান্স হিসেবে গণ্য হচ্ছে না। পে-পল বৈধতা পেলে এবং এ মাধ্যমে টাকা এলে তা রেমিট্যান্স গণ্য হবে এবং সরকারও এ খাত থেকে লাভবান হবে। ফ্রিল্যান্সিং প্রাতিষ্ঠানিক কাজের মর্যাদা পাবে। ফ্রিল্যান্সারদের টাকা দেশে আনার ব্যাপারে দুশ্চিন্তা কমবে, বললেন বেসিস সভাপতি মাহবুব জামান।

দেশে পে-পলের মাধ্যমেও টাকা আসছে তবে তা থার্ড পার্টি সলিউশন প্রোভাইডারদের সহায়তায়। এ দেশের অনেক থার্ড পার্টি প্রোভাইডার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা পাশের দেশে ভারতে কৌশলে পে-পলে হিসাব খোলে। ফ্রিল্যান্সাররা তাদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা এসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় করে নিচ্ছে। এজন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ চার্জ হিসেবে কেটে নেয়া হচ্ছে বলে জানালেন হোষ্টিং হেল্প ২৪ – এর ব্যবসায় উন্নয়ন ব্যবস্থাপক ইউসুফ আহমেদ তুহিন।

বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক মুনির হাসান “দৈনিক আমাদের সময়” কে বলেন ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিংয়ে আমাদের অবস্থা ভালো। সঠিক দিক-নির্দেশনা দিলে তারা ভবিষ্যতে আরো করবে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে বিশ্বে আউটসোসিংয়ে শীর্ষ ৩০টি দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। কারোর কোনে পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই ফ্রিল্যান্সাররা এটা করে দেখিয়েছে।

খবরটি দৈনিক আমাদের সময় থেকে নেওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *