বিসমিল্লাহ হির রহমানির রাহীম
বর্হিবিশ্বের প্রায় সব দেশই ইন্টারনেট এর উপর নির্ভরশীল। তাদের কাছে সময় কম থাকায় তারা অনলাইনের উপর নির্ভর হয়ে পড়ছে। মুলত ৯০ দশকের শেষের দিক থেকে উন্নত বিশ্বে ইন্টারনেটের গুরুত্ব অপরিসীম হয়ে উঠে। তথ্য আদান প্রদান, খবর পড়া, বিনোদন, পড়াশোনার কাজে ব্যবহার, ব্যবসা বাণিজ্য, কেনা-বেচা সহ হাজারো ক্ষেত্রে ইন্টারনেট একটি শক্তিশালী এবং নির্ভরযোগ্যমাধ্যম। গুগল, ইবে, আমাজন, উইকিপিডিয়া, ফেইসবুক, ইয়াহু, টুইটার, পেপাল, ওয়ার্ডপ্রেস ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানগুলো দুনিয়াকে আমূল বদলে দিয়েছে। সবাই যখন প্রগতিশীল এবং নতুন নতুন সব অনলাইণ ব্যবসা তৈরী করতে ব্যস্ত তখন এইতো মাত্র চার পাঁচ বছর আগের কথা, বাংলাদেশের ওয়েব জগতে সাড়া জাগানোর মত তেমন কিছুই ছিলনা।ইন্টারনেট ব্যবহার বলতে মানুষ বুঝত ইমেইল পাঠানো এবং চ্যাট করা। এখন সেই ধারনার এবং অভ্যাসের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। নানা ধরনের ব্লগ তৈরি হয়েছে। তাছাড়া ফেসবুক, টুইটার কিংবা ইউটিউব তো আছেই। এছাড়া বিনদনের জন্য বাংলাদেশে তৈরি সোশ্যাল ওয়েবসাইট বেশতো ও অনেক জনপ্রিয়। নতুন প্রজন্ম ব্লগিং কিংবা ফ্রীল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনলাইনে আয় ও করছে। অনলাইন ব্যংকিং এর পাশাপাশি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত বিশ্বের মত এখন বাংলাদেশেও ঘরে বসে আপনার কাঙ্ক্ষিত জিনিস কেনাকাটা করতে পারছেন। এতে যেমন সময় বাচে তেমনি আবার শারীরিক কষ্টও দূর হয়। বেশ কয়েক বছর ধরেই অনলাইনে কেনাবেচা বাংলাদেশে জনপ্রিয়। মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ, পোশাক কিংবা অলংকার, বাড়ি কিংবা গাড়ি সবই এখন পাওয়া যায় অনলাইনে।
বহির্বিশ্বে অনলাইন মার্কেট বলতে ইবে কিংবা আমাজনকে বোঝায়। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো সেই রকম অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি যে এই আন্তর্জাতিক কোম্পানি তাদের সেবা দিবে। তাই দেশের ভিতরেই গড়ে উঠেছে অনেকগুলো প্রাইভেট কোম্পানি যারা এই সুবধা প্রদান করছে।
বাংলাদেশে গাড়ি কেনা এখন একটি শখে পরিণত হয়েছে। মানুষের এই চাহিদাকে সামনে রেখে কিছু অনলাইন সংস্থা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। এমন কয়েকটি মার্কেট হচ্ছে কারমুদি, বিক্রয়, ক্লিক বিডি, কারহাট ইত্যাদি। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে গাড়ি কেনা সম্ভব? আসলে এই ওয়েবসাইট গুলো আসলে সরাসরি কোন কেনাবেচা করেনা। এরা মূলত ক্রেতা এবং বিক্রেতার মাঝে যোগাযোগ স্থাপন করে থাকে। এই ওয়েবসাইট গুলোতে নিজের নামে একাউন্ট খুলে যে কেউ তার গাড়ি বিক্রয় করতে পারবে।
আবার ওয়েবসাইটে পছন্দের গাড়ি খুঁজে সরাসরি বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করে গাড়ি কিনতে পারবে। এই ওয়েবসাইটগুলোর সুবিধা হচ্ছে আপনাকে গাড়ি খোঁজার জন্য কোন অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হচ্ছেনা, যা কিনা মানুষের হাতে খুবি কম। আপনি ঘরে বসেই কয়েক ক্লিকে আপনার পছন্দের গাড়ির তথ্য পেয়ে যাবেন। এছাড়া অনলাইনে বসেই আপনার কাংখিত গাড়ির বৈশিষ্ট্য মিলিয়ে দেখতে পারেন। অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস থাকায় আপনি খুব দ্রুত একস্থানে বসে দাম ও মান যাচাই বাছাই করে নিতে পারবেন। সর্বোপরি অনলাইনে গাড়ি কেনার সেবা চালু হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজিটালাইজেসনের এক নতুন ধাপ উন্মোচিত হয়েছে। সেদিন বেশি দূরে নয় যখন ইবে কিংবা অ্যামাজনের মত বড় কোম্পানি তাদের সেবা বাংলাদেশে শুরু করবে।